সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Live post

Tiktalk funny vidio#tanvir240.blogspot.com

 

সালমান শাহ্-নব্বই দশকের হিরো -The hero of 1990

 সালমান শাহ (১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ - ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬) অভিনেতা ও মডেল হিসেবে কাজ করেন। সালমান শাহর আসল নামটি হচ্ছে শাহরিয়ার ইমন চৌধুরী ।তার জীবনের প্রথম চলচ্চিত্র ব‍্যাবসা সফল কেয়ামত থেকে কেয়ামত যা ১৯৯৩ সালে মুক্তি পেয়েছিলো।তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র।ছবিটির পরিচালক ছিলেন সোহানুর রহমান সোহান।ছবিটিতে তার বিপরীতে নাইকা হিসেবে অভিনয় করেন নায়িকা মৌসুমী। উনিশ শতকের জনপ্রিয়  অভিনয় শিল্পী হিসেবে খ‍্যাতি অর্জন করেন তিনি।তার সবগুলো ছবিই ছিলো ব‍্যাবসা সফল ছবি।এসময়  তার কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবিতে  নাইকা মৌসুমীর অভিষেক হয়েছিল।এই ছবিতে শিল্পী  আগুনের গান প্রচুর জনপ্রিয় হয়ে  উঠেছিল।নায়ক শালমান শাহর দির্ঘ‍্য দশ বছের অভিনয় ক‍্যারিয়ারে সর্বমোট  ২৭ টি বাংলা ছায়াছবিতে অংশগ্রহণ করেন। চব্বিশ বছরের এই খ‍্যাতিমান অভিনয় শিল্পীর উনিশশো ছিয়ানব্বই সালের ৬ সেপ্টেম্বরে মৃত‍্যু হয়  রহস‍্যজনকবে। ঢাকার  নিউ ইস্কাটনে তিনি মৃত‍্যুবরন করেন এবং তাকে সিলেটের শাহ জালাল মাজারের পাশে সমাহিত করা হয়। ফলে জাতী হারিয়ে ফেলে একজন ভালোবাসার মানুষকে।  

আরও পোষ্ট পড়তে Click here

 টেলিভিশন নাটক দিয়ে তার অভিনয় জীবনের শুরু হয়েছিল।



জন্ম : শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন(শালমান সাহ ) এর জন্ম হয়েছিল ১৯৭১ সালের ৬ ই সেপ্টেম্বরে।তার নানা বাড়ির আব এ হায়াত ভবণে। যদিও তাকে আমরা সবাই শালমান সাহ নামে চিনি  কিন্তু তার আসল নাম শাহরিয়ার ইমন চৌধুরী ।  সিলেটের দাড়িয়া বাড়িতে তার জন্ম হয়েছিল।বর্তমানে ভবণের পূণর্নামকরন করে সালমান শাহ ভবণ রাখা হয়।

স্কুল বন্ধের দিন বাথরুমে আটকে গিয়ে পায়খানা খেয়ে বাচার চেষ্টা-রক্ত দিয়ে লিখে গেলো বন্দি জীবনের কাহিনী গল্পটি পড়ুন 

শিক্ষা জীবন : সালমান শাহর পড়াশুনার জীবন শুরু হয়  খুলনার বয়রা মডেল হাইস্কুলে। তিনি ১৯৮৭ সালে ঢাকার  আরব মিশন হাই স্কুল থেকে প্রবেশিকা পাশ করেন।পরে আই.এ পাশ করেন ঢাকার আদমজি ক‍্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এবং  বি.কম পাশ করেন ডক্টর মালিকা সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।


দাম্পত্য জীবন : শালমান সাহে জীবন সাথী হিসেবে   সামীরা হককে বেছে নিয়েছিলেন।তিনি পেশায় ছিলেন একজন বিউটি পার্লার ব‍্যাবসায়ী। তাদের সংসার জীবন হয়েছিল  ১৯৯২-১৯৯৬ পর্যন্ত। সামীরা হক ছিলেন নায়ক শালমান সাহের খালার বান্ধবীর মেয়ে।



চলচ্চিত্র যগতে পদার্পন : নায়ক শালমান সাহ অভিনয় শুরু করেন টিভি নাটক দিয়ে।পরে তিনি কেয়ামত থেকে কেয়ামত চলচ্চিত্রের মাধ‍্যমে নায়ক হিসেবে সুপরিচিত হন। 


সোহানুর রহমান সোহান কেয়ামত থেকে কেয়ামত চলচিত্রের পূণনির্মানের জন‍্য নাইকা মৌসুমী কে পছন্দ করেন।কিন্তু এ ছবিতে  নায়ক চরিত্রে ভালো কোনো মুখ খুজে না পেয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন। 


একপর্যায়ে নায়ক আলমগীরের সহধর্মীনী খোশনূর আলমগীর  তার খোজ দেন। তখন শালমান সাহের চেহারা  এত সুন্দর ছিলো যে, এক দেখাতেই সোহানুর রহমানের খুবই পছন্দ হয়ে গেলো। ছবিটি হিট হলে শালমান সাহ ১৯৯৪  সালে আলোচিত আরো আরও দুটি ছবি অন্তরে অন্তরে ও স্নেহ ছবিতে অভিনয় করেন। 


এছাড়া তার পরের বছরে দেনমোহর ছবিতে অভিনয় করেন। এসকল ছবিগুলো এত ই জনপ্রিয়তা অর্জন করে যে, শালমান সাহ হয়ে  ওঠেন নব্বইয়ের  ছায়াছবির হিরো। 

দেনমোহর ছবিটি হিন্দি সিনেমা  সানম বেওয়াফার বাংলা পূণনির্মান। শালমান সাহ শাবনূরের সাথে জুটি বেধে মোট চৌদ্দটা ছায়াছবিতে অভিনয় করেন।

ছবিগুলি হচ্ছে,

চাওয়া থেকে পাওয়া ১৯৯৬

সুজন সখি ১৯৯৪,বিক্ষোভ ১৯৯৪, স্বপ্নের ঠিকানা ১৯৯৪    মহামিলন ১৯৯৫, বিচার হবে ১৯৯৬, , স্বপ্নের পৃথিবী    ১৯৯৬,ভিতর আগুন ১৯৯৭ জীবন সংসার ১৯৯৬, , প্রেম পিয়াসী ১৯৯৭, স্বপ্নের নায়ক ১৯৯৭, আনন্দ অশ্রু ১৯৯৭, তোমাকে চাই ১৯৯৬


তার মৃত্যুর পরে বেশ কটি ছবির শুটিং  রয়ে বাকি গিয়েছিল।ছবিগুলো হলো, কে অপরাধী, তুমি শুধু তুমি,প্রেমের বাজি। মন মানে না ছবিটি  নায়ক রিয়াজ কে দিয়ে শেষ করানো হয়।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Letter to the deceased father | বাবার কাছে চিঠি||ইংরেজী অনুবাদ সহ।|

  প্রিয়, বাবা, জানি ঐ কবরে আছো কিন্তু আমরা ভালো নেই। বাবার পর আমাদের ভবিষ্যৎ নিলো অন্য বাবার মৃত্যু আমাদের ভাইবোনের দিকে পেটের খাবার কেড়ে নিয়ে গেছে। আমার ছেলের মুখের হাসি কেড়ে নেবেন। কিন্তু এখন তোমার মৃত্যু তাকে অসহায় করবে। বাবার মৃত‍্যু আমাদের ভিটে পাঠান।  বাবা বেচেল হাত পেতে আজ তারা আমাদের শিকারের মতো ব‍্যাহার করে। আমার বাবা আপন ভাইয়ের মতো আদর যত্ন কর। বাবার সাথে যখন ঘুরতে যেতাম তখন আমার মাকে সব আঙ্কেল রা বল ভাবি আপনি কি অবস্থা করছেন? আর এখনই মেম্বরের বউ মাকে বীনা কেন দূর করে তাড়িয়ে দেয়।  হ্যারে বাবা...😰😰😨 তুমি মরে যাওয়ার পরে আমাদের জন্মের ঠিক নেই। তোমার হাতে লাগানো আমি গাছে এখন আমি। তুমি আমাদের জন‍্য লাগিয়েছিলে, কিন্তু এখন রাজনীতির কাছে। বাবা জানো! তোমার সেই গাছের গাছে আমি কেন জানি আমার বাড়িতে আমার ছেলে। বাবা কেন তুমি আমাদের ছেড়ে চলে গেলে?  আমার মনে আছে, তোমার যেদিন দাফন করা, ঐদিন ও আমাদের দুধের গাভী।  আপনার কাছে যেতে আমাদের পেটে আহার দিতে না রাজকারন, তাহকে অন্যের কাছে। বাবা তোমার অনুপস্থিতিতে আমরা কষ্টে আছি রেতুমি ছিল আমাদের মাথার ছায়াযুক্ত বটগাছ। বাবা তুমি ফিরে এ

Beautiful picture of Bangladesh

  Beautiful picture of Bangladesh This is my homeland picture.This picture shooted ghoperdanga college.

Beautiful picture of Bangladesh

Beautiful picture of Bangladesh