সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Live post

টেলিগ্রামের নিজস্ব সাইট নভেম্বর মাসে লিস্টেড হবে||When listed not pixel%relegram bot

  বন্ধুরা টেলিগ্রামের নিজস্ব সাইট Not pixel অতি দ্রুত গতিতে লিস্টেড হতে যাচ্ছে । হাতে আর মাত্র একমাস সময়ই রয়েছে আপনার । খুব ই ভালো একটা সাইট ।আপনি চাইলে নিচের লিংকে স্পর্শ করে Not pixel এর একজন সদস্য হয়ে  যেতে পারেন । টেলিগ্রামের নিজস্ব সাইট নভেম্বর মাসে লিস্টেড হবে|| https://t.me/notpixel/app?startapp=f7893095980

মলমূত্র খেয়ে পনেরো দিন পরে মৃত‍্যু-বাথরুমে বন্দি এক ছোট ছেলের মৃত্যুর আগে রক্ত দিয়ে দেয়ালে লিখে যাওয়া করুণ কাহিনী-তানভীর ডট'কম

 মলমূত্র খেয়ে পনেরো দিন পরে মৃত‍্যু-বাথরুমে বন্দি এক ছোট ছেলের মৃত্যুর আগে রক্ত দিয়ে দেয়ালে লিখে যাওয়া করুণ কাহিনী 

*কাহিনীটি আমার মায়ের মুখ থেকে শোনা।মাঝেমাঝে মা এই ঘটনাটা বলতো আমাদের সচেতন হওয়ার জন‍্য। 


রাজা ছিলো ছেলেটির নাম। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তো।  বা - মায়ের একমাএ সন্তান ছিলো রাজা। প্রতিদিন প্রায় সাত ক্রোশ পায়ে হেটে স্কুলে যেতো। সে। সরকারি স্কুলে আজ আম কাঠালের বন্ধ দিবে।প্রতিদিনের মতো আজ ও রাজা স্কুলে এসেছে। আনন্দে আত্বহারা হয়ে  বিদ‍্যালয়ের মাঠে সহপাঠীদের সাথে খেলছে আর ছড়া পাঠ করছে, তাই তাই  তা,

মামা বাড়ি যা।

রাজার খুবই খুশি লাগছে যে সে কাল মামার বাড়িতে যাবে।মামার বাড়িতে গিয়ে আম -কাঠাল খাবে।নানীর হাতের পিঠা খাবে। 

কল্পনা করতে করতে কোথায় যেনো হারিয়ে গেছে রাজা। 

বিদ‍্যালয় বন্ধ ঘোষনা করা হলো যথারীতি ভাবে এক মাস। সবাই ছুটি পেয়ে বইখাতা গুছিয়ে বাড়ির দিকে রওয়ানা হলো। রাজাও সবার মতো বইখাতা গুছিয়ে যাবে এমন সময় তার বাথরুমে বেগ দিলো।বিদ‍্যালয়ের বাথরুম এখনো তালা মারে নাই দেখে রাজা তার জরুরত সারতে গেলো।কিন্তু ভাগ‍্য তাকে আর বাথরুম থেকে জ‍্যান্ত ফিরিয়ে দেবেনা সে বুঝতে পারেনি।  প্রধান শিক্ষক একজন ছাত্রকে বিদ‍্যালয়ের বাথরুম তালা মারতে বললেন। রাজা বাথরুমের ভতরে আছে বা কেউ ভিতরে আছে কিনা দেখতে বললেন স‍্যার। কিন্তু তালা মারার সময় ছেলেটির কিছুই মনে নেই। ভিতরে রাজাকে রেখে তালা মেরে দিলো ছেলেটি।রাজা তার জরুরত শেষে যখন দরজা খুলতে গেলো দরজা খুললো না।

বারবার দরজা ধাক্কাতে লাগলো।কিন্তু কেউ তার ডাকে সাড়া দিলোনা। রাজা চিৎকার দিয়ে ডাকতে লাগলো "আমাকে কেউ বাচাও!" আমি বাথরুমের ভেতরে আছি "।কেউ রাজাকে বাচাতে আসলোনা।সন্ধ‍্যা হয়ে গেছে,খুব ই খিধে পেয়েছে তার।কাদতে কাদতে সে মাকে ডাকতে লাগলো " মা.....মা....ওমা!..... আমার খুব ক্ষিদে পেয়েছে...মা।ভাত খাবো মা! কষ্টের কথা হলো ওখানে কেউ হাটাচলাও করেনা।কে তার ডাকে সাড়া দিবে,তাকে বাচাতে আসবে?

এদিকে রাজার মা বাবা খুজে বেড়াচ্ছে সব জায়গাতে।বনে-জঙ্গলে কোথাও বাদ দেয়নি তারা।রাতে দুচোখের পাতা এক করেনি তারা। রাজা রাতভর ক্ষুধার জ্বালায় কি করবে বুঝতে পারছিলনা।কি করবে বাথরুমের ট‍্যাংকির পানি খাবে না কি না খেয়ে থাকবে বুঝতে পারেনা।সকাল হয়ে গেলো বুঝতে পারলো।ভাবলো আজ মনে হয়  ওকে কেউ খুজে পাবে আর এই মৃত‍্যুপুর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাবে।কিন্তু আজ ও কেউ ওকে খুজে পেলনা।ওর সব আত্বীয়স্বজনদের বাড়িতে জানানো হলো।কিন্তু কারো বাড়িতে রাজাকে খুজে পাওয়া গেলনা।সবাই কোনো পথ খুজে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে গেলো।একপর্যায়ে মেনেই নিলো রাজা আর কোথাও নেই।ওকে হয় তো কেউ মেরে ফেলেছে। কেউ পানিতে খোজে আবার কেউ বনে জঙ্গলে  ওর লাশটা খোজে।কিন্তু খুজে পায়নি কেউ। আজ এক সপ্তাহ হয়ে গেলো রাজা বাথরুমের পরিত‍্যাক্ত পানি খেয়ে কোনো মতে আধমরা হয়ে বেচে আছে।একদিন এক বৃদ্ধ মহিলা স্কুলের বাথরুমের কাছে এসেছিলো কি কারনে জানেনা রাজা।বাচাও বাচাও বলে চিৎকার করছিলো সে।কিন্তু একটা ডাক ওই বৃদ্ধার কানে পৌছালোনা। 

আজ বারোদিন হয়ে গেলো রাজা বাথরুমের ভেতরে বন্দি অবস্থায় আছে ক্ষুধা পেটে নিয়ে বন্দি জীবন কাটছে তার।চিৎকার করার বিন্দুমাত্র  গলায় জোর নেই।স্কুলের ট‍্যাংকে পানিও নেই যে পানি খেয়ে জীবন বাচাবে।পানির তৃষ্ণায় খা খা করছে ওর গলা। মনে হয় এক সাগর পানি এনে দিলে এক চুমুকেই শেষ করে ফেলবে ও। আজরাইল যখন সামনে আসার উপক্রম,তখন ক্ষুধা নিবারন করতে বাথরুমের মলমূত্র হাত দিয়ে উঠিয়ে খেতে লাগলো। কতটুকু অসহায় হলে মানুষ পায়খানা খেয়ে পেঠের জ্বালা মেটায়? এরপরও চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে আমাকে কেউ বাচাবে। যখন বাথরুমের মলমূত্র ও শেষ হয়ে গেলো তখন রাজার আর সময় নেই সে বুঝতে পারলো।


মৃত‍্যুর আগে ও বাথরুমের দেয়ালে গায়ের রক্ত দিয়ে লিখে গিয়েছিলো ওর প্রতিটা দিনের কাহিনি।

ওর শেষ বাক্য ছিলো " সবাই মামা বাড়িতে গিয়ে আম কাঠাল খাচ্ছো।আমার কপালে একমুঠো ভাত ও জোটে নাই এই কদিন।মৃত‍্যুর আগে বাথরুমের বিষ্ঠাও আমার রুজি থেকে খোদা উঠিয়ে নিলো। আজ পনেরো দিন ক্ষুধার জ্বালা সহ‍্য করে মৃত‍্যুর কোলে ঢলে পড়েছি আমি। কেউ আমাকে বাচাতে আসলেনা। মৃত‍্যুর পরে খোদার কাছে আমি শুধু পানি আর ভাত চাইবো। "


এক মাস পরে যখন বিদ‍্যালয়  খুললো তখন বাথরুমের ভেতরে রাজার কঙ্কাল খুজে পেলো সবাই।দেয়ালের লেখা দেখে সবাই চিনতে পারলো রাজাকে।

 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Letter to the deceased father | বাবার কাছে চিঠি||ইংরেজী অনুবাদ সহ।|

  প্রিয়, বাবা, জানি ঐ কবরে আছো কিন্তু আমরা ভালো নেই। বাবার পর আমাদের ভবিষ্যৎ নিলো অন্য বাবার মৃত্যু আমাদের ভাইবোনের দিকে পেটের খাবার কেড়ে নিয়ে গেছে। আমার ছেলের মুখের হাসি কেড়ে নেবেন। কিন্তু এখন তোমার মৃত্যু তাকে অসহায় করবে। বাবার মৃত‍্যু আমাদের ভিটে পাঠান।  বাবা বেচেল হাত পেতে আজ তারা আমাদের শিকারের মতো ব‍্যাহার করে। আমার বাবা আপন ভাইয়ের মতো আদর যত্ন কর। বাবার সাথে যখন ঘুরতে যেতাম তখন আমার মাকে সব আঙ্কেল রা বল ভাবি আপনি কি অবস্থা করছেন? আর এখনই মেম্বরের বউ মাকে বীনা কেন দূর করে তাড়িয়ে দেয়।  হ্যারে বাবা...😰😰😨 তুমি মরে যাওয়ার পরে আমাদের জন্মের ঠিক নেই। তোমার হাতে লাগানো আমি গাছে এখন আমি। তুমি আমাদের জন‍্য লাগিয়েছিলে, কিন্তু এখন রাজনীতির কাছে। বাবা জানো! তোমার সেই গাছের গাছে আমি কেন জানি আমার বাড়িতে আমার ছেলে। বাবা কেন তুমি আমাদের ছেড়ে চলে গেলে?  আমার মনে আছে, তোমার যেদিন দাফন করা, ঐদিন ও আমাদের দুধের গাভী।  আপনার কাছে যেতে আমাদের পেটে আহার দিতে না রাজকারন, তাহকে অন্যের কাছে। বাবা তোমার অনুপস্থিতিতে আমরা কষ্টে আছি রেতুমি ছিল আমাদের মাথার ছায়াযুক্ত...

টেলিগ্রামের নিজস্ব সাইট নভেম্বর মাসে লিস্টেড হবে||When listed not pixel%relegram bot

  বন্ধুরা টেলিগ্রামের নিজস্ব সাইট Not pixel অতি দ্রুত গতিতে লিস্টেড হতে যাচ্ছে । হাতে আর মাত্র একমাস সময়ই রয়েছে আপনার । খুব ই ভালো একটা সাইট ।আপনি চাইলে নিচের লিংকে স্পর্শ করে Not pixel এর একজন সদস্য হয়ে  যেতে পারেন । টেলিগ্রামের নিজস্ব সাইট নভেম্বর মাসে লিস্টেড হবে|| https://t.me/notpixel/app?startapp=f7893095980

সাতক্ষীরায় ভাতিজার দায়ের কোপে চাচা খুন||Uncle killed in Satkhira by nephew|news24

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানার গণেশপুর গ্রামে গতকাল  সোমবার বিকেল পাচটার দিকে ভাতিজার দায়ের কোপে চাচা খুন।নিহত ঐ ব‍্যাক্তির নাম সাইফুল ইসলাম।তিনি ঐ গ্রামের আলাউদটদিন গাজির ছেলে। বাড়ির সীমানায় সৌচাগারের ঘর নির্মানের সময়  এ ঘটনা ঘটে। নিহতের স্ত্রীর থেকে জানা যায়, তার ভাসুর সম্পত্তি পাওনা অংশ নেবার পর ও আমাদের সম্পত্তির ভেতরে আরও  অংশ আছে বলে দির্ঘদিন যাবত দাবি করে আসছে। সোমবার বিকেল বেলা সীমানা জুড়ে সৌচাগার নির্মান করার সময়  তার ভাসুর নিহত সাইফুল ইসলামকে সাবল দিয়ে আঘাত করতে গেলে সাইফুল ধরে বসে।কিছু বুঝে ওঠার আগে ভাসুরের ছেলে হাবিবুল্লাহ সাইফুল ইসলামকে দা দিয়ে পেটে কোপ মারে। প্রতিবেশীরা তাকে মোটরসাইকেলে করে সাতক্ষীরা উপজেলা স্বাস্থ‍্য কম্প্লেক্সে নিয়ে যায়। তার স্বারীরীক অবস্থার অবনতি দেখে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সাইফুল ইসলাম মারা যান। ক্ষুব্ধ জনতা ঘাতক হাবিবুল্লাহ কে গণপিটুনি দিয়ে গাছের সাথে বেধে রাখে।পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। সাইফুল ইসলামের লাশ ময়নাতদন্তে নেওয়া হবে আজ মোঙ্গলবার।  Satkhira's Kaliganj Police Station's Ganeshpur village...