বন্ধুরা টেলিগ্রামের নিজস্ব সাইট Not pixel অতি দ্রুত গতিতে লিস্টেড হতে যাচ্ছে । হাতে আর মাত্র একমাস সময়ই রয়েছে আপনার । খুব ই ভালো একটা সাইট ।আপনি চাইলে নিচের লিংকে স্পর্শ করে Not pixel এর একজন সদস্য হয়ে যেতে পারেন । টেলিগ্রামের নিজস্ব সাইট নভেম্বর মাসে লিস্টেড হবে|| https://t.me/notpixel/app?startapp=f7893095980
দুধের বাচ্চা রেখে টিকটকার প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেলো স্ত্রী-Latest news-dudher bassa rekhe tiktikar premiker shathe paliye gelo stri||tanvir240 news||
রাজিয়ার যখন বিবাহ হয় তখন স্বামীর সাথে দিনগুলো খুবই ভালো যাচ্ছিলো।রাজিয়া ও সজিব দুজন দুজনকে পছন্দ করতো।রাজিয়ার চেহারা খুবই সুন্দর।আল্লাহর কৃপায় এখন তাদের একটি ছেলে একটি মেয়ে।খুব আনন্দে দিন কাটতে লাগলো তাদের সন্তান দের নিয়ে। কিন্তু এই ভালোবাসা বেশিদিন স্থায়ী হলোনা।
যেদিন থেকে রাজিয়ার হাতে মোবাইল ফোন কিনে দিলো সজিব। স্মার্টফোন পেয়ে রাজিয়া প্রথমে বাংলা মুভিগুলো দেখতো।পরে সে ফেসবুক চালাতে শিখলো। পাশের বাড়ির ক্লাস সেভেনে পড়ুয়া ইভা তার সাথে আড্ডা দিতে আসতো বিকেলবেলা। ইভা মোবাইলে খুবই পটু।রাজিয়া আস্তে আস্তে ইভার কাছ থেকে টিকটক একাউন্ট খুলে টিকটক ভিডিও দেখতো। ইভা তার মোবাইল দিয়ে নিজে টিকটক ভিডিও বানাতো।এটা দেখে ধীরে ধীরে রাজিয়াও টিকটক ভিডিও বানাতো।সবকিছুই সে স্বামী যখন বাড়িতে থাকতোনা তখন করতো।কারন সজিব যদি দেখে তাহলে খারাপ কিছু হতে পারে।তাই সে সজীব কাজে গেলে করতো।আগে সজিব বাড়িতে এসে গরম ভাত তরকারি খেতো।কিন্তু এখন আর গরম ভাত এসে দেখেনা।সজিব এটা নিয়ে তেমন কিছুই ভাবেনি।কারন তারা ভালোবেসে বিয়ে করেছে।
কিছুদিন পরে সজিব দেখলো বাচ্চাদের দিকেও বেখেয়ালি হয়ে গেছে রাজিয়া। ছোট বাচ্চা টা প্রসাব করে এক কাপড়েই শুয়ে আছে তাও রাজিয়া তাদের দিকে খেয়াল করেনি।
এখন রাজিয়া কিছু কিছু ভিডিওতে ডুয়েট করে। হঠাৎ একটা ম্যাসেজ এলো আপনি কিন্ত অনেক সুন্দরী একটা মেয়ে।মিষ্টি আপনার ঠোট দুটি।মায়াবী চোখ দুটি।আপনাকে আমার খুবই ভালো লেগেছে।প্রেম করবেন আমার সাথে? রাজিয়া প্রথমে না বললেও বলেনি সে দুটি সন্তানের মা।ছেলেটির সাথে আরো টিকটক করতে লাগলো রাজিয়া। কিছুদিন পর এমন হলো যে ঐ ছেলেটির সাথে টিকটক ভিডিও না করতে পারলে রাজিয়া হন্নে হয়ে যেতো। রাজিয়া এখন স্বামী,সন্তান,সাজানো সংসার সব কিছুই ভুলে গেছে।সে যেনো পাগল হয়ে গেছে ছেলেটির জন্য। সে সন্তানদের সাথে, স্বামীর সাথে খারাপ ব্যাবহার করে।
আস্তে আস্তে রাজিয়ার চরিত্রের অবক্ষয় হতে শুরু করলো।সে বোরখা ছেড়ে ওড়না ছাড়া ঘর থেকে বের হতো। স্বামীর বারন সত্বেও বেহায়াপনা পোষাক পরিধান করতো। পার্কে ঘরতে যেতো ছেলেটির সাথে প্রেম করার জন্য।
এমন অবস্থা হয়েছে যে, এখন ছেলেটি ই তার জীবনের সব কিছুই।ছেলেটির জন্য সে স্বামী সন্তান সবকিছুই ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। ছেলেটিও তাকে ছাড়া কিছুই বোঝেনা।একপর্যায়ে তারা স্বারীরীক সম্পর্কে ও লিপ্ত হয়। অবশেষে তারা পালিয়ে গেলো ঢাকাতে। যেদিন থেকে রাজিয়া পালিয়ে গেলো টিকটকার প্রেমিকের সাথে সেদিন রাত থেকে তার আট মাসের সুলতানা দুধের জন্য মা মা করে কাদতে থাকে সারা দিন সারা রাত।রাজিয়ার স্বামী সজিবের দুচোখ ভরে জ্বল বেয়ে পড়ে আর দুধের বাচ্চাটির কান্না থামায়।সুলতানা বুকের দুধ ছাড়া কিছুই খাওয়া দেয়নি।হঠাৎ করে কি খাওয়াবে তাকে! ভেবে উঠতে পারছেনা সজিব। সুলতানা শুধু মা বলাই শিখেছে।সে ক্ষুধার জ্বালায় চিৎকার করে তার মাকে ডাকতে থাকে। সজিব তার শ্বশুরবাড়ির সবার বাড়িতে রাজিয়ার খোজ নিয়েছে কোথাও তার সন্ধান পায়না।তিনদিন পরে সুলতানা কান্না থামিয়ে দিয়ে চলে গেলো দুনিয়া ছেড়ে শুধু মায়ের দুধের অভাবে।মৃত্যুর আগে সুলতানা তার মাকেই ডেকেছিলো।কিন্তু তার মা তো টিকটকার প্রেমিকের সাথে মধুর রাত কাটাচ্ছে।এখন তার কাছে দুধের বাচ্চার কান্নাও মূল্যহীন। রাজিয়া এতটুকু চিন্তা করলোনা যে তার সন্তানদের কি হবে,স্বামীর কি হবে। যেদিন সুলতানার শেষ গোছল হচ্ছিলো সেই সময় পাশের বাড়ির সেই ইভা সব ঘটনা খুলে বললো সবার কাছে।কিন্তু ইভা জানতোনা সে এভাবে সংসার ছেড়ে পালিয়ে যাবে।
তখন আর তার পরিবারের কেউই রাজিয়ার খোজ করেনি।সজিব ও তাকে খোজা বাদ দিয়ে দিলো।সে তার ছেলেকে নিয়ে দিন কাটাতে লাগলো। সজিবের কান্নাভেজা চোখ তার ছেলে রোমান মুছে দিয়ে বলে,"বাবা তুমি কার জন্য কাদো? বাবা দুনিয়ায় কেনো মোবাইল আসলো বাবা? মোবাইল যে বানিয়েছিল তাকে আমি খুন করবো বাবা।এই মোবাইল না থাকলে আমার মা চলে যেতোনা,আমার বোন মরে যেতোনা তাইনা বাবা?
সমাপ্ত😰😰😰😰😰😰😰
এখন পাঠক ভাই ও বোনেরা আপনারা এই ছোট বাচ্চাটির প্রশ্নের কী জবাব দিবেন কমেন্টে জানান।
লেখক: মো নিয়ামত শেখ ; টুঙ্গিপাড়া ; গোপালগঞ্জ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন